বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে নতুন করে আর হেফাজতে নেবে না মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (এনসিবি)। এ খবর জানিয়েছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকা। এনসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আজকের মেয়াদ শেষ হলে নতুন করে আরিয়ান খানকে হেফাজতে নেওয়ার দাবি করবে না। আজ সোমবার এই তারকাপুত্রকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হতে পারে। আর এই সময় তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করবেন। গতকাল রোববার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে আদালতে বলেছেন, আরিয়ানের ওপর যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা জামিনযোগ্য।
এনসিবি জানিয়েছে, আরিয়ান চোখের লেন্সের বাক্সে মাদক লুকিয়ে রেখেছিলেন। স্যানিটারি ন্যাপকিন আর ওষুধের বাক্সে চরস আর গাঁজা লুকিয়ে রেখেছিলেন তাঁর সঙ্গীরা। বিলাসবহুল প্রমোদতরি মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিলে তাঁরা মাদক সেবন শুরু করেন। এই প্রমোদতরিতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের হাতেনাতে ধরে এনসিবি। সংস্থাটি আরিয়ানের মুঠোফোন খতিয়ে বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার করেছে। এই চ্যাটের মধ্যে আরিয়ানের সঙ্গে মাদক সরবরাহকারীদের কথাবার্তাও রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আর এর মাধ্যমে খোলাসা হয়েছে, শাহরুখপুত্র নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। আরিয়ানের কাছ থেকে ১৩ গ্রাম কোকেন, ৫ গ্রাম এমডি, ২১ গ্রাম চরস ও এমডিএমএর ২২টি ক্যাপসুল উদ্ধার করা হয়েছে। এসবের মূল্য ১ লাখ ৩৩ হাজার রুপি বলা হচ্ছে। এছাড়া তাঁর কাছ থেকে প্রায় নগদ দেড় লাখ টাকাও পাওয়া গেছে। আরিয়ান এনসিবির জেরার মুখে স্বীকার করেছেন, তিনি মাদক সেবন করেছেন। শখের বশে তিনি মাদক নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এনসিবির কর্মকর্তাদের সামনে শাহরুখপুত্র হাঁটু গেড়ে বসে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি–মিনতি করেছেন বলে জানা গেছে। পরে এনসিবির সেলে রাত কাটিয়েছেন আরিয়ান।
আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধমেচা আজ দুপুর পর্যন্ত এনসিবির হেফাজতে থাকবেন। আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে আজ আদালতে জামিনের আবেদন করবেন। সতীশ মানশিন্ডে হাইপ্রোফাইল কেস লড়ার জন্য জনপ্রিয়।
Source: www.prothomalo.com