দেশের তৈরি পোশাকখাতের সমৃদ্ধিতে গত এক দশকে কমেছে পুরোনো পোশাক আমদানি। প্রায় অর্ধেক কমেছে এ ধরনের পোশাক আমদানিকারকের সংখ্যা। ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে চূড়ান্তভাবে পদার্পণের পর এ ধরনের কাপড়ের আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে চায় সরকার। সে লক্ষ্যেই কাজ করছেন নীতি-নির্ধারকরা।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরোনো কাপড় আমদানির ব্যবসা অন্য ব্যবসার মতো নয়। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। একদিকে দেশের বাজারে পুরোনো পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়া, অন্যদিকে সরকারের বিধিনিষেধ কঠোর করার কারণে এ ধরনের কাপড় আমদানি কমছে। এছাড়া এখন দেশেও তৈরি হচ্ছে ভালো মানের শীতবস্ত্র। আগে কম দামের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলে পুরোনো কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা ছিল। এখন দেশে উৎপাদিত শীতবস্ত্রই কম দামে মিলছে। তাই চাহিদা থাকছে না আমদানি কাপড়ের।
এ বিষয়ে পুরোনো কাপড় আমদানিকারক আফছার আহমেদ বলেন, বছরের শুরুতে ব্যবসায়ীরা কাপড় আমদানির জন্য এলসি করেন। শীতের আগে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মধ্যে কাপড় চলে আসে। এখন আর পুরোনো কাপড়ের সেই বাজারটা নেই। বাজারে পুরোনো শীতবস্ত্রের চাহিদা নেমে এসেছে অর্ধেকে। গত বছরের আমদানি করা কাপড় এখনো অনেকের গোডাউনে পড়ে আছে।
বাংলাদেশ পুরাতন কাপড় আমদানিকারক সমিতির সভাপতি মাহবুব ইসলাম রুনু বলেন, একটা লাইসেন্সে এখন এক লাখ টাকার মাল আনা যায়। জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা থেকে আমদানিকারকরা কম্বল, সোয়েটার, লেডিস কার্ডিগান, জিপার জ্যাকেট, পুরুষদের ট্রাউজার, সিনথেটিক, ব্লেন্ডেড কাপড়ের শার্ট ও পশমের জ্যাকেট আমদানি করেন। তবে এই ব্যবসাটা পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে সরকার।
‘ইচ্ছে করলেই যে কেউ পুরাতন কাপড় আমদানি করতে পারে না। প্রত্যেক জেলায় ডিসিরা কমিটি করে দেন। সেই কমিটির মাধ্যমে জেলা কোটায় পোশাক আমদানি করতে হয়। আমদানিকারকের লাইসেন্স থাকলেই যে তারা ১২ মাস কাপড় আনতে পারবেন সেটা কিন্তু সম্ভব না।’
করোনা মহামারির মধ্যেও ভালো করছে দেশের পোশাকখাত। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, গত সেপ্টেম্বরে ৩৪১ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০০ কোটি ডলার বেশি। চলতি বছর ৩৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। এর বাইরে লেফটওভার (ত্রুটিযুক্ত কাপড়) রপ্তানিও হচ্ছে বিপুল অঙ্কের।
Source: Jagonews24
Tags:
বাংলাদেশ