নওয়াজের বলটি আসলেই ‘নো বল’

 


চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ রবিবার অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তানের অগ্নিগর্ভ ম্যাচে সৃষ্টি হয়েছে ‘নো বল’ বিতর্ক। ভারতের ইনিংসের শেষ ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজের করা একটি ফুলটস ডেলিভারি বিরাট কোহলির কোমরের ওপরে ছিল। সেই বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারেন কোহলি। সেই সঙ্গে তিনি আম্পায়ারের কাছে নো বলের আবেদনও জানান।

কোহলির আবেদনের সাথে সাথেই আম্পয়ার বলটিকে ‘নো বল’ ঘোষণা করেন।

এতেই শুরু হয় সমস্যার।  পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা চটে যান। তারা একজোট হয়ে এর প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তাদের আপত্তিতে কোনো কাজ হয়নি। সেই নো বলেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। শেষ বলের নাটকীয়তায় ভারত পায় ৪ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়। ম্যাচ শেষে নো বলটি নিয়ে সোশ্যাল সাইটে চলছে বিতর্ক। অনেকের মতেই এটা নো বল নয়। তাদের যুক্তি, বল তো কোহলির কাঁধের ওপর দিয়ে যায়নি! কিন্তু আইসিসির আইন বলছে, আম্পায়ার সঠিক সিদ্ধান্তই দিয়েছেন।

আইসিসির আইনের ৪১.৭ ধারায় (বিপজ্জনক এবং অন্যায্য নন পিচিং ডেলিভারি) স্পষ্ট করে লেখা আছে, “কোনো ডেলিভারি যদি পিচ না করে (ফুলটস) ক্রিজে সোজা হয়ে দাঁড়ানো ব্যাটারের কোমরের উচ্চতায় ওঠে এবং সেটা যদি ব্যাটারকে শারীরিকভাবে আহত করে কিংবা না করে, সেটি অন্যায্য (আনফেয়ার) ডেলিভারি হিসেবে গণ্য হবে। কোনো বোলার এমন ডেলিভারি করলে আম্পায়ারের উচিত সাথে সাথে নো বলের সংকেত দেওয়া। যদি সেই ডেলিভারি দ্বারা ব্যাটার শারীরিকভাবে আহত হন, তাহলে সেটিকে ‘বিপজ্জনক’ আখ্যা দিতে হবে। তখন আম্পায়ার অবশ্যই সেই বোলারকে শেষবারের মতো সতর্ক (ফাইনাল ওয়ার্নিং) করে দেবেন। যা পুরো ইনিংস জুড়ে বলবৎ থাকবে। সেই সঙ্গে তিনি অপর ফিল্ড আম্পায়ার, বোলিং দলের অধিনায়ক এবং উক্ত ব্যাটারকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করবেন। ”


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন