সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ক্রিস মরিস


১৬.২৫ কোটি রুপি (১৮.৮৭ কোটি টাকা) হাতে পেলে কী করবেন? আইপিএলের গত মৌসুমে ক্রিস মরিসকে নিয়ে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে। রাজস্থান রয়্যালস তাঁকে এ দামে কেনায় সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়েছিলেন মরিস। 

পেস অলরাউন্ডার হিসেবে ৩৪ বছর বয়সেও বেশ নামডাক আছে তাঁর। এবার আইপিএলেও দামটা কম হতো না। কদিন পরই মহাসমারোহে হবে নিলাম। কিন্তু আইপিএল তো আইপিএল, মরিসের এমন কী হলো যে ক্রিকেট খেলাই ছেড়ে দিলেন!

আইপিএল নিলামে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দামি এ ক্রিকেটার সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। 

আজ ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে মরিস বলেছেন, ‘আজ আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করছি। এ অভিযাত্রায় আমার পাশে যারা ছিলেন, সবাইকে ধন্যবাদ। মজার সময় ছিল। টাইটানসের কোচ হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত।’ দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটের দল টাইটানসে কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন মরিস। তিনি নিজেও খেলেছেন দলটির হয়ে।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ টেস্ট, ৪২ ওয়ানডে ও ২৩ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মরিস। বিশ্বজুড়ে খেলেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের মধ্যে আইপিএল থেকে টাকাপয়সার হিসাবে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড় মরিস। 

২০১৩ আইপিএলে তৃতীয় সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি (৩.৩ কোটি রুপি)। ২২ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত মরিস খ্যাতি পেয়েছেন ক্যারিয়ারের শেষের দিকে। বিশেষ করে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে, আরও খোলাসা করে বললে আইপিএল।

২০১২ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষিক্ত এ অলরাউন্ডার ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতির আশপাশে বল করেছেন। শেষ দিকে দ্রুত রানও তুলতে পারতেন। ব্যাটে-বলে এমন সামর্থ্যের জন্য দ্রুতই খ্যাতি কুড়ান ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। এ কারণে ২০১৩ আইপিএলে মরিসের ভিত্তিমূল্যের (২০ হাজার ডলার/১৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা প্রায়) ৩১ গুণ বেশি দামে তাঁকে কিনেছিল চেন্নাই সুপার কিংস।

২০১৬ আইপিএলেও চড়া দাম পেয়েছেন মরিস। ৭ কোটি রুপিতে তাঁকে কিনেছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। ২০২০ আইপিএলে দামটা আরও বাড়ে—১০ কোটি রুপিতে কিনে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আর গত বছর তো তাঁকে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসেই সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় বানিয়ে ফেলে রাজস্থান রয়্যালস। 

টি-টোয়েন্টি সংস্করণেই নিজের সেরাটা দেখিয়েছেন মরিস। এ সংস্করণে ২৩৪ ম্যাচে ২২.২১ গড়ে ২৯০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৭.৭৮। ব্যাটিংয়ে স্ট্রাইকরেট ১৫০.০৪।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ৩৪ বছর বয়স এমন কিছুই না। গত আইপিএলেও খেলেছেন ৪০ বছর বয়সী হরভজন সিং, ৩৯ বছর বয়সী মহেন্দ্র সিং ধোনি ও ৩৮ বছর বয়সী অমিত মিশ্ররা। গত আইপিএলেও ১১ ম্যাচ খেলা মরিস ১৫ উইকেট নেন। 

টুর্নামেন্টে তাঁর স্ট্রাইকরেট ছিল ১৪০–এর একটু নিচে। কিন্তু ১৬ কোটি রুপির ক্রিকেটারের মতো পারফরম্যান্স ছিল তাঁর। ওভারপ্রতি রান (৯.১৭) হারটাও সন্তোষজনক ছিল না। মরিস ঠিক কী কারণে খেলা ছাড়লেন, তা জানা যায়নি।


 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন